Monday, March 13, 2017

বাংলায় পি.এল.সি ( ধারাবাহিক পর্বের দ্বিতীয় পর্ব )



Image result for digital & analog signal 
আশা করছি সবাই ভাল আছেন ।
 আমিও ভাল আছি । দ্বিতীয় পর্বে একটা কথা বলে নেই, আর তা হল আমি কিন্তু একেবারে জিরো থেকে শুরু করছি কারণ ধরেই রাখছি আপনি পি.এল.সির কিছুই জানেন না কিন্তু অনেক কিছু জানতে চান ।
আচ্ছা আমরা তো পি.এল.সি শিখতে চাই। কেন শিখতে চাই? কি করা যায় পি.এল.সি দিয়ে । আজ শুরু করি পি.এল.সি দিয়ে কি কি ধরণের কন্ট্রোল করা যায় ।
ক)ওপেন লুপ কন্ট্রোল
খ) ক্লোজ লুপ কন্ট্রোল
গ) অপারেশন এন্ড মনিটরিং
ঘ) মেসেজিং এন্ড প্রটোকলিং
ঙ) ক্যালকুলেশনস
এই তো গেল কি কি ধরণের কন্ট্রোল করা যায় পি.এল.সি দিয়ে । আচ্ছা এবার আসি সিগন্যাল এর কথা । আমরা তো সিগন্যাল নিয়েই কাজ করবো, তো সিগন্যাল কত প্রকার?

সিগন্যাল এখানে ২ প্রকার
১) ডিজিটাল সিগন্যাল (বাইনারী সিগন্যাল)
২) এনালগ সিগন্যাল
……………
ডিজিটাল সিগন্যাল: বাইনারী সিগন্যালে পসিবল দুইটি স্টেট থাকে ।
সিগন্যাল স্টেট ১= কিছু ভোল্টেজ এর উপস্থিতি= উদাহরণ- সুইচ অন।
সিগন্যাল স্টেট ০=  কোনো ভোল্টেজ নেই= উদাহরণ সুইচ অফ।
পি.এল.সি কন্ট্রোলে সাধারণত ডিসি ২৪ ভোল্টেজ কে কন্ট্রোল সাপ্লাই ভোল্টেজ বলে । অর্থাৎ ২৪ ভোল্ট ইনপুট ভোল্টেজ পেলে স্টেট অন এবং জিরো ভোল্টেজ পেলে স্টেট অফ ।
এখন বিষয় হচ্ছে একটা বাইনারী ডিজিট দিয়ে দুইটি পসিবল স্টেট হতে পারে, হয় ০ না হয় ১ । যাকে আপনারা সবাই বিট বলে জানেন ।
আমরা কয়েকটি বাইনারী সিগন্যাল নিয়ে একটা ডিজিটাল সিগন্যাল ও তৈরি করতে পারি ।
একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আশা করছি পরিষ্কার হবে ।
ধরুন আপনি দুইটি বিট এক সাথে নিয়ে একটি কমান্ড তৈরি করবেন । সেক্ষেত্রে আমরা দুইটি বিট দিয়ে ৪ টি পসিবল রেজাল্ট তৈরি করতে পারি । ধরা যাক আপনার দুইটি সিগন্যাল ০,১ ।
এবং রেজাল্ট গুলো আসবে
০ ০= কনফিগারেশন ১ ( উভয় সুইচ ওপেন)
০ ১=কনফিগারেশন ২ ( সুইচ ১ ক্লোজড/ সুইচ ২ ওপেন )
১ ০=কনফিগারেশন ৩ (সুইচ ১ ওপেন/ সুইচ ২ ক্লোজড)
১ ১=কনফিগারেশন ৪ (উভয় সুইচ ক্লোজড )
ডিজিটাল সিগন্যাল সর্ম্পকে বোধহয় বুঝেছেন, এবার আসি এনালগ সিগন্যাল এর বিষয়ে।
এনালগ সিগন্যাল: ডিজিটাল সিগন্যালে যেমন ২৪ ভোল্ট পেলে ১ স্টেট এবং ০ ভোল্ট পেলে ০ স্টেট হয় কিন্তু এনালগ সিগন্যালে এরকম অনেক মান নেয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে পটেনশিওমিটার। যেটার একটা রোটারি বাটন ঘুড়িয়ে আমরা রেজিস্ট্যান্স এডজাস্ট করতে পারি একটা সারটেইন লিমিট পর্যন্ত ।
এবার আসুন দেখি এনালগ সিগন্যাল কি কি ধরণের হতে পারে ;
১)তাপমাত্রা: -৫০ ডিগ্রি থেকে +১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ।
২) কারেন্ট ফ্লো
৩)নাম্বার অফ রিভলুশন ( ৫০০-১৫০০) রিভলুশন/মিনিট
এবং আরো অনেক অনেক ।
এখন এনালগ সিগন্যালের এই সমস্ত প্যারামিটার কে আবার ট্রান্সডিউসার এর মাধ্যমে কারেন্ট বা রেজিস্ট্যান্স এ রুপান্তর করা হয় ।
এবার একটা উদাহরণ দেয়া যাক : মনে করুন একটা ট্রান্সডিউসার এর মাধ্যমে ৫০০-১৫০০ রিভলুশন কে ভোল্টেজ এ রুপান্তর করব , যার লিমিট হবে ০-১০ ভোল্ট ।
তো রিভলুশান যখন ৯০০ হবে তখন ভোল্টেজ কত থাকবে ??
হিসেব টা করা যাক:
(১৫০০-৫০০)রিভলুশন=১০০০রিভলুশন=১০ ভোল্ট;
(৯০০-৫০০)=৪০০=(১০/১০০০)*৪০০= ৪ ভোল্ট
অর্থাৎ রিভলুশন ৯০০ হলে ভোল্টেজ পাবো ৪ ভোল্ট ।
এখন এই কাজটিই যদি আমি পি.এল.সি দিয়ে করতে চাই তবে  অবশ্যই আমাকে এ সিগন্যাল কে ডিজিটাল এ কনভার্ট করতে হবে, যা কিনা হতে পারে ভোল্টেজ, কারেন্ট অথবা রেজিট্যান্স । এবং এই কনভার্শন প্রক্রিয়া কে A/D Conversion বলে।  যার মানে হল এই ৪ ভোল্ট কে আমাদের একটা বাইনারী ডিজিটে নিতে হবে । এখন আমাদের কাছে যদি একটি বিট থাকে তাহলে আমরা পসিবল দুইটি রেজাল্ট পেতে পারি ।
যদি ২ টি বিট থাকে তাহলে ৪ টি রেজাল্ট পেতে পারি (আগে যেভাবে দেখানো হয়েছে)।
রেজাল্ট গুলো হতে পারে 
*০-২.৫ পর্যন্ত
*২.৫-৫ পর্যন্ত
*৫-৭.৫ পর্যন্ত
*৭.৫-১০ পর্যন্ত
সাধারনত কন্ট্রোলে ৮ থেকে ১১ টি বিট ইউজ করা হয় যার মানে দাড়ায়
৮ বিট= পসিবল নাম্বার ২৫৬ টি
১১ বিট= পসিবল নাম্বার ২০৪৮ টি।
অর্থাৎ আমরা এই ০ থেকে ১০ ভোল্ট কে ২০৪৮ টি ভাগে ভাগ করতে পারি ( ভাবুন কতটা নিখুঁত বা প্রেসাইজ হবে )

তো এই হল এনালগ আর ডিজিটাল সিগন্যাল নিয়ে কথাবার্তা । জানিনা কতটুকু বুঝতে পেরেছেন বা কেমন লাগছে ।
আজ এই পর্যন্তই …
ভাল থাকবেন ..
কথা হবে সামনের পর্বে …
কোনো মন্তব্য বা প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন । আল্লাহ হাফিজ।

No comments:

Post a Comment