Saturday, March 4, 2017

বাংলায় পি.এল.সি ( ধারাবাহিক পর্বের প্রথম পর্ব )



পি.এল.সির জগতে সবাইকে স্বাগতম ! সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি ।
যদিও পি.এল.সি সর্ম্পকে আমি খুব বেশিকিছু জানিনা, তবে শেখায় চেষ্টায় আছি ভাবলাম আমি যা শিখছি তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি । এবং সেই চিন্তাধারা থেকেই আপনাদের সাথে এই জ্ঞান শেয়ার করা । আমিও আস্তে আস্তে শিখছি এবং সেই ধারাবাহিকতায় আপনাদের সাথে আমার শেখা গুলো শেয়ার করব ।
--------------------------



আজ আপনাদের সাথে একেবারেই বেসিক কিছু কথাবার্তা আর পি.এল.সি নিয়ে প্রাথমিক ধারনা দেব এবং আস্তে আস্তে পি.এল.সির গভীরে যাবো । তো শুরু করা যাক ।
>> পি.এল.সি এর পুরো অর্থ হল প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার । যা কিনা আবিষ্কার হয়েছিল রিলে আর টাইমার এর পরিবর্তন হিসেবে । একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা বুঝবেন ।
উ: রিলে আর টাইমার হলো আগের যুগের ল্যান্ড লাইন ফোন যার দ্বারা শুধু কথা বলা যেত আর পি.এল.সি হল এখনকার যুগের স্মার্টফোন যার দ্বারা এখন প্রায় অসম্ভব অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে ।
তেমনি পি.এল.সি দিয়েও এখন চমৎকার সব অটোমেশনের কন্ট্রোল করা হচ্ছে ।
ও হ্যাঁ পি.এল.সি কিন্তু ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ইন্ড্রাসটিতে । আপনি যদি শুধু পি.এল.সিতে দক্ষ হয়ে থাকেন দেখবেন আপনার সিভির ওয়েট অনেকগুন বেড়ে গেছে
এবার আর একটা উদাহরণ: ধরা যাক একটা সুইচ অন করার পর আপনি একটা সলেনয়েড ১০ সেকেন্ডের জন্য অন্য রাখতে চাচ্ছেন, তারপর যতক্ষণ না পর্যন্ত সুইচটি অন থাকুক; তো আপনি কিন্তু কাজটি জাস্ট একটা এক্সটার্নাল টাইমার দিয়েই করে ফেলতে পারেন । 
এখন মনে করুন এই একি কাজ আপনি ১৫ টা সুইচ আর ১৫ টা সলেনয়েড দিয়ে করতে চাচ্ছেন তাহলে কিন্তু আপনার আরো ১৫ টি টাইমার দরকার । আবার যদি এমন হয় যে আমাদের কতবার সুইচ অন হল সেই তথ্যও দরকার তাহলে আমাদের আরো এক্সটার্নাল কাউন্টার দরকার ।
অথচ আমাদের এই কাজটি আমরা একটা পি.এল.সি দিয়েই করে ফেলতে পারি ।  এবং পি.এল.সির মজা এখানেই ।

আসুন এবার জেনে নেই পি.এল.সি কোন কোন ধরণের ইনপুট আর আউটপুট নিয়ে কাজ করে ।
ইনপুট:
*সুইচ এবং পুশবাটনস।
*সেনসিং ডিভাইস(লিমিট সু্ইচ, ফটোইলেকট্রিক সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর)।
* কন্ডিশনিং সেন্সরস।
*ইনকোডার(প্রেশার সুইচ, লেভেল সুইচ, টেমপারেচার সুইচ, ভ্যাকুয়াম সু্ইচ, ফ্লোট সুইচ)।
*লিকুইড লেভেল ডিটেক্টর, ফ্লুইড ফ্লো সেন্সর।

আউটপুট:
*ভালভ
*মটর স্টার্টার
*সলেনয়েড
*একচুয়াটর
*হর্ন & এলার্ম
*ফ্যান, লাইট etc…………..
আচ্ছা পি.এল.সি সম্পর্কে জানার আগে আমাদের কি একটু ইতিহাস জানা উচিত না ? অবশ্যই জানা উচিত; চলুন আগে একটু ইতিহাস জেনে আস্তে আস্তে এগুতে থাকি :
ইতিহাস: ১৯৬৮ সালে রিচার্ড ডিক মরলে প্রথম পি.এল.সির উদ্ভাবন করেন এবং তাকেই পি.এল.সির জনক বলা হয়ে থাকে । উনার পি.এল.সি ছিল মডিকন , জেনারেল মটরস এর জন্য । যা এখন স্নেইডার ইলেকট্রিক ওনার।
এবং কমার্শিয়াল পি.এল.সি উদ্ভাবন হয় ১৯৭৩ সালে।
যদিও প্রথম পি.এল.সির স্পিড ও মেমোরী অনেক কম ছিল এবং আস্তে আস্তে বাড়ানো হয় ।
২০১৬ সালে এই উদ্ভাবনের জন্য কন্ট্রোল সিস্টেম ইনটেগ্রেটরস এসোসিয়েশন(সি.এস.আই.এ) ডিক মরলে কে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড প্রদান করেন । এছাড়াও আরো অনেক অনেক এওয়ার্ড আগে পেয়েছেন ।
পি.এল.সি প্রোগ্রামিং যখন আপনি শিখে যাবেন, ল্যাডার ডায়াগ্রাম যখন নিজে নিজে করবেন, ছোট ছোট প্রোগ্রাম করবেন; প্রোগ্রাম সিমুলেশন করবেন , তখন আপনি পি.এল.সির যেই মজা পাবেন সেটা থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে যাবে বলে দিলাম 

যাই হোক আজ এ পর্যন্তই ; পরের পর্ব থেকে আশাকরছি আরো ভালো ভাবে পি.এল.সি নিয়ে আগানো যাবে; সবাই অনেক অনেক ভাল থাকবেন ।

No comments:

Post a Comment