Sunday, May 20, 2018

আমার প্রেয়সী, আমার অসচেনক!!

ওগো সুহাসিনী,
তুমিই তো ছিলে আমার অসচেনক,
তুমি শুচিস্মিতা, আর পাগল ছিলেম আমি।

ভেবেছিলেম নিজেকে জেতব্য,
তোমার ইপ্সায় হয়েছিনু মগ্ন,
অনিমেষে তাকিয়ে তোমার পানে।

তুমি তো প্রিয়ংবদা, স্রোতস্বিনী তটিনী,
আমার মনোহারিণী, ভালবাসি তোমায়,
ঠিক আগের মতনই!

২১.০৩.২০১৮
সন্ধ্যাঃ০৬.৫০

পরিসংখ্যান

পরিসংখ্যান শব্দটা আমার কাছে অত্যন্ত হাস্যকর একটা শব্দ শোনায়।
এর দ্বারা অনেক সময় মিথ্যাকে সত্যকে রুপান্তরও করা হয় বলে আমি মনে করি। আবার কঠিন সত্যও মিথ্যা হয়ে যায়।

এই যেমন,
১ জন লোকের মাসিক বেতন ৫ লাখ টাকা,
আর ১ জনের ২০ হাজার টাকা;
২ জনের গড় বেতন লাখ টাকার ওপরে।
এবং পরিসংখ্যানেও গড় বেতন থাকবে লাখ টাকার ওপরে।
আবার ১ জন মানুষের শরীরের নিচের অংশ রাখা আছে (-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে)
আর ওপরের অর্ধেক রাখা আছে (+৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে), অর্থাৎ মানুষটা এখন স্বাভাবিক +২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আরামে আছে।

সুখ ও সফলতা

দেখতে দেখতে চাকুরীজীবনের
পঞ্চম বছরের প্রথম মাস ও চলে যাচ্ছে।

এত দ্রুত সময়গুলো চলে যাচ্ছে, যেন সবকিছু স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের মত!!

ব্যর্থতা আর সফলতার সংঙ্গা এখন বড্ড বেশি ধোয়াশা আমার কাছে।

আমার চেয়ে কম সময়ে অনেকে আমার চেয়ে দ্বিগুন/তিনগুন বেতনের চাকুরী করছে,
কেউ কেউ কর্পোরেট অফিসের বড় স্যার হয়ে বসে আছে।

আমার বাংলাদেশ

+++লোকটা আমাকে বলল, এই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য একটা যথোপযুক্ত কারণ আমাকে বলেন-

+++আমি বললাম, তা আপনি বিদেশে সেটেলড হতে চাচ্ছেন কেন??

++উনি আমাকে এক প্রঃশ্বাসে কারণগুলো বলা শুরু করলেনঃ

দ্রব্য মূল্যের অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি,
ট্রাফিক জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা,
জব মার্কেটে বেহাল দশা,

টাকা ইনকামের নামে অপ্রয়োজনীয় সিজার,
এক্সপায়ার হওয়া রিএজেন্ট দিয়ে রোগের ডায়াগনোসিস,
অ্যান্টিবায়োটিক এর যাচ্ছে তাই ব্যবহার,
সরকারি প্রতিটি সেক্টরে সীমাহীন দূর্নীতি,

একটি হার্টের আত্মকাহিনী

মাঝে মাঝেই মাঝ রাতে আতকে উঠে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ঘুম থেকে জাগা পেয়েই দেখি হার্টবিট অস্বাভাবিক নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে বেড়ে গেছে।
পুরো শরীরে তার আরো বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে হচ্ছে।
কিন্তু এমন তো কথা ছিল না, তবে কি আমার হার্টও আমার সাথে জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাচ্ছে???

কি পেলাম, কি পেতাম, কি পাবো এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ফজরের সালাতের সময় হয়ে যায় তাও টের পাইনা।
হার্টের যে মাসলগুলো আছে ওরা বড্ড বেশি বেয়ারা, আমার কথা তো শোনেইনা, ঔষধের কথাও শোনেনা।
আর শুনবেই বা কেন, ওর কি কোনো রেস্ট আছে??
ও তো সেই মায়ের পেটের ভেতরে থেকেই নিরন্তর পাম্প করে যাচ্ছে।

একদিন আমি হার্টকে প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা তুমি যে সবসময় এইযে বিশ্রামহীন ভাবে ব্লাড পাম্প করতেই থাকো, তোমার কি কষ্ট হয়না??
বিরক্তি আসেনা?