Saturday, March 18, 2017

বাংলায় পি.এল.সি ( ধারাবাহিক পর্বের তৃতীয় পর্ব )



তৃতীয় পর্বে সবাইকে স্বাগতম ।
শুরু করা যাক ।


আচ্ছা আমরা পি.এল.সি শেখা তো শুরু করে দিয়েছি , তো আমরা কি কি শিখছি আর কি কি সামনে শিখব তার একটা ধারণা দিলে কেমন হয় ?
যদিও এটা প্রথম পর্বে দিলে ভাল হত , তারপরও আজকেই দিই…
১) পি.এল.সি কি?
২) কন্ট্রোল কি?
৩) পি.এল.সির ইতিহাস।
৪) পি.এল.সি কেন প্রয়োজন?
৫) পি.এল.সির সাথে রিলে টাইমারের তুলনা।
৬) পি.এল.সি ফাংশন।
৭) পি.এল.সি অপারেটিং সাইকেল।
৮) কিভাবে পি.এল.সি কাজ করে।
৯) পি.এল.সি সিগন্যাল ফ্লো।
১০) ল্যাডার ডায়াগ্রাম।
১২) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট।
১৩) সিপিউ ডিউটিস।
১৪) ইনপুট এন্ড আউটপুট মডিউল।
১৫) পাওয়ার সাপ্লাই।
১৬) প্রোগ্রামিং এর ধরণ।
১৭) ব্রান্ড নেম অফ পি.এল.সি ।
১৮) সিগন্যালের ধরণ
১৯) নাম্বার সিস্টেমস
এবং আরো আরো আছে যা এখন মনে আসছে না , যখন মনে আসবে তখন বলব ।
 
যাইহোক গতপর্বে আমি সিগন্যাল নিয়ে কথা বলেছিলাম, আজ একটু নাম্বার সিস্টেমস নিয়ে কথা বলব ; যদিও আপনারা অনেকেই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স পড়ে এসেছেন এবং অনেকে খুব ভাল জানেন তারপরো একটু সবার উদ্দেশ্যে একটু আলোচনা করি।
একটা পি.এল.সি দিয়ে মেমোরী সেল, ইনপুট, আউটপুট, টাইমস, বিট মেমোরিজ ইত্যাদি প্রসেস করার জন্য ডেসিমাল এর পরিবর্তে বাইনারী ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তবু্ও আমরা একটু একটু করে সবই দেখে নেবো।

ক) ডেসিমাল নাম্বারঃ 
 
বাইনারী নাম্বার বুঝতে হলে আমাদের ডেসিমাল ও ভাল করে বুঝতে হবে । ডেসিমাল নাম্বার এর ক্ষেত্রে আমরা ১০ এর পাওয়ার দিয়ে লিখি ।
উদাহরণ দেয়া যাক: ধরুণ আপনার সংখ্যা ৩২৭, এখানে শতকের সংখ্যা ৩, দশক ২ এবং একক ৭ । যেটা আমরা লিখতে পারি ৩০০+২০+৭। এখন এটাই যদি আমরা ১০ এর পাওয়ার দিয়ে লিখতে চাই তবে হবে
3*10^2+2*10^1+7*10^0 = 327 ।
এই  হল ডেসিমাল নাম্বার । ডেসিমাল নাম্বারে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো আছে ।

খ) বাইনারী নাম্বারঃ 
আপনারা জানেন বাইনারী নাম্বার শুধু ০ আর ১ ব্যবহার করে এবং বাইনারী কোনো সংখ্যা লিখতে গেলে আমার ২ এর পাওয়ার দিয়ে লিখে থাকি ।
উদাহরণঃ আমরা ১১ কে ৪ বিট বাইনারী তে রুপান্তর করব। ৪ বিটের ক্ষেত্রে মানগুলো থাকে
এরকম ভাবে ।
৮—৪—২—১ ।
এখন ১১ এর ক্ষেত্রে আসবে 1*2^3+0*2^2+1*2^1+1*2^0= 11= 1011 যা ৪ বিটের বাইনারী সংখ্যা নির্দেশ করে। এগুলো অবশ্য সবাই জানেন , তারপরও দিচ্ছি ।
এভাবে যদি অন্যগুলো লিখি তাহলে আসে
০০০০=০
০০০১=১
০০১০=২
০০১১=৩
০১০০=৪
০১০১=৫
০১১০=৬
০১১১=৭
১০০০=৮
১০০১=৯
১০১০=১০
১০১১=১১
১১০০=১২
১১০১=১৩
১১১০=১৪
১১১১=১৫
এভাবে আমরা ৪ বিট দিয়ে ০ থেকে ১৫ পর্যন্ত লিখতে পারি । বেশি সংখ্যার ক্ষেত্রে বিট বাড়াতে হয় ।


গ)  BCD কোড( Binary Coded Decimal Number):
 
 বড় ধরণের সংখ্যাসূচক বা নিউমেরিক ভ্যালু লেখার জন্য  বিসিডি কোড ব্যবহার করা হয় । যেহেতু ডেসিমাল সংখ্যার সবচেয়ে বড় সংখ্যা ৯, যা লিখতে আমাদের ৪ বিট লাগে । অর্থাৎ ৯=১০০১ তাই এই বিসিডি কোড কে ৪ বিট কোড ও বলা হয়ে থাকে ।
উদাহরণ: মনে করুন আমরা ৫৯৮ কে বিসিডি কোডে লিখতে চাই সুতরাং তা দ্বারাবে
৫৯৮=(০১০১)(১০০১)(১০০০) । আশা করছি বিসিডি কোডও ক্লিয়ার ।


ঘ) হেক্সাডেসিমাল নাম্বার সিস্টেমঃ 
 হেক্সাডেসিমাল আর কিছুই না ডেসিমাল এর ০ থেকে ৯ এর পর A,B,C,D,E,F হওয়ার পর ১০, ১১, ১২ , ১৩। যেখানে হেক্সাডেসিমালের ১০, ১১, ১২, ১৩ মানে ডেসিমাল এর ১৬, ১৭, ১৮, ১৯।  

এইতো গেল মোটামুটি নাম্বার সিস্টেমস নিয়ে কথাবার্তা । আজ আর লিখছি না । কথা হবে সামনের পর্বে, সবাই অনেক অনেক ভাল থাকবেন ।

4 comments:

  1. as per good.But i think go little bit fast.Example part 2 and part 3 expressed as simultaneously.

    Thanks

    ReplyDelete
  2. আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছি

    ReplyDelete
  3. আসলে কাজের চাপে আছি তো । এজন্য অনেকদিন থেকেই লেখালেখি নেই । ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি পরের পর্ব লিখব । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

    ReplyDelete