কিছুদিন
আগে বাংলায় পি.এল.সি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট করা শুরু করেছিলাম । কিন্তু কাজের চাপে
কিছুদিন থেকে কোনো পোস্ট করা হয়নি । এজন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আশা করছি
এখন থেকে নিয়মিত পি.এল.সি নিয়ে আলোচনা করা যাবে ।
আজ আপনাদের
সাথে আলোচনা করব টাইমার নিয়ে কারণ পি.এল.সি প্রোগ্রামিং করতে গেলে এই টাইমার সর্ম্পকে
জানা খুব জরুরী ।
তো চলুন
শুরু করা যাক ।
আমরা নিচের
যে ছবি দেখতে পাচ্ছি এগুলোই মোটামুটি পি.এল.সি প্রোগ্রামিং করতে গেলে প্রয়োজন হয় ।
এখন আমরা
একটা একটা করে বিস্তারিত আলোচনা করব যাতে এগুলো আপনারা খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন
।
১) অন
ডিলে টাইমারঃ
এটা হলো অন ডিলে টাইমার এর সিম্বল । অন ডিলে টাইমার
হলো এমন একটা টাইমার যা আপনি যে নির্দিষ্ট সময় সেট করে দিবেন সেই নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত
হওয়ার পর টাইমার অন হবে (অর্থাৎ ০ থেকে ১ হবে ) ।
ও হ্যাঁ
অন ডিলে টাইমার আবার দুইপ্রকার
ক)
NOTC (Normally Open Timed Close)= এটা নরমালি ওপেন থাকে , একটা নির্দিষ্ট সময় পর অন
হয় বা ক্লোজ হয় ।
খ)
NCTO (Normally closed, Timed open)= এটা নরমালি ক্লোজ থাকে , একটা নির্দিষ্ট সময় পর
অন হয় বা ওপেন হয় ।
উদাহরণ
স্বরুপ বলা যেতে পারে আপনি একটি মটর অন করবেন কিন্তু মটর টি অন হবে সুইচ অন করার ৫
সেকেন্ড পর ।
নিচের
ছবি টি লক্ষ্য করুনঃ
ক)
NOTC (Normally Open Timed Close)= এটা নরমালি ওপেন থাকে , একটা নির্দিষ্ট সময় পর অন
হয় বা ক্লোজ হয় ।
দেখুন
টাইমার টি অন হওয়ার পর ৫ সেকেন্ড পর কনট্যাক্ট ক্লোজ হয়েছে , অর্থাৎ মটর টি বা যেটাতে
কানেকশন দেয়া আছে সেটি ৫ সেকেন্ড পর অন হবে ।
খ)
NCTO (Normally closed, Timed open)= এটা নরমালি ক্লোজ থাকে , একটা নির্দিষ্ট সময় পর
অন হয় বা ওপেন হয় ।
আবার আপনি
যদি এমনটি করতে চান যেন টাইমার অন হওয়ার ৫ সেকেন্ড পর মটর অফ করবেন তাহলে শুধু
NCTO ব্যবহার করলেই হয়ে যাবে ।
নিচের
ছবিটি লক্ষ্য করুন
২) অফডিলে
টাইমারঃ
এই হলো
অফ ডিলে টাইমারের সিম্বল । এটা জাস্ট অন ডিলে
টাইমারের অপোজিট ।
অফ ডিলে
টাইমার আবার দুইপ্রকার
ক) NOTO
(Normally Open, Timed Open)= এটা নরমালি ওপেন থাকে , একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওপেন
থাকে ।
খ)
NCTO (Normally closed, Timed Closed)= এটা নরমালি ক্লোজ থাকে , একটা নির্দিষ্ট সময়
পর্যন্ত ক্লোজ থাকে ।
নিচের
ছবি দুইটি লক্ষ্য করুন , আশা করছি বুঝতে পারবেন ।
ক)
NOTO (Normally Open, Timed Open):
দেখুন
কয়েল পাওয়ার অফ হওয়ার ও ৫ সেকেন্ড পর কনট্যাক্ট ওপেন হয়েছে অর্থাৎ যতক্ষণ টাইম সেট
করে দিবো ততক্ষণ পর্যন্ত কনট্যাক্ট ক্লোজ থাকবে NOTO তে ।
খ)
NCTO (Normally closed, Timed Closed):
এই ধরণের
কনট্যাক্ট নরমালি ক্লোজ থাকবে যখন কয়েল আনপাওয়ার্ড থাকবে । কয়েল এনার্জাইজড হওয়ার সাথে
সাথেই কনট্যাক্ট ওপেন হবে কিন্তু কয়েল ডিএনার্জাইজড হওয়ার পর আপনি যতক্ষণ সময় সেট করবেন
ততক্ষণ পর ক্লোজ হবে ।
যদিও অফ
ডিলে টাইমার এর ব্যবহার অন ডিলে টাইমারের চেয়ে অনেক কম ।
৩) অন-অফ
ডিলে টাইমারঃ
অন অফ ডিলে টাইমার এর সিম্বল এটা । এটাও মূলত একধরণের
টাইমার যেখানে একটা টাইমার দিয়েই আপনি অন ডিলে আর অফ ডিলে টাইমার ব্যবহার করতে পারেন
।
ধরা যাক
আপনি টাইমার দিয়ে একটি কয়েল অন করাতে চাচ্ছেন, আবার অফ ও করাতে চাচ্ছেন এবং টাইম সেট
করে দিলেন অন টাইম ৫ সেকেন্ড এবং অফ টাইম ৭ সেকেন্ড । সেক্ষেত্রে টাইমার অন করার ৫
সেকেন্ড পর কয়েল অন হবে এবং টাইমার অফ করার ও ৭ সেকেন্ড পর কয়েল অফ হবে ।
৪) রিটেনটিভ
অন ডিলে টাইমারঃ
রিটেনটিভ
অন ডিলে টাইমার এর ক্ষেত্রে দুইটি ইনপুট আছে । আপনি একটি ইনপুট বা ট্রিগার দিয়ে শুধু
টাইমার অন করাতে পারবেন এরপর আপনি যতবার ট্রিগারে ভোল্টেজ দেন না কেন টাইমার অন থাকবে
। টাইমার অফ করার জন্য রিসেট নামক আর একটা ইনপুট আছে । এটাতে ০ থেকে ১ হলেই অর্থাৎ
ভোল্টেজ দিলেই টাইমার অফ হয়ে যাবে ।
৫) উইপিং রিলে টাইমারঃ
এটা আর এক ধরণের মজার টাইমার যেখানে আপনি যতক্ষণ
টাইমারে টাইম সেট করে দিবেন ততক্ষণই টাইমার অন থাকবে । ধরুণ আপনি টাইমার ১০ সেকেন্ড
সেট করলেন এখন টাইমার এর ইনপুট আপনি যখন অন করলেন বা ০ থেকে ১ করলেন সাথে সাথেই আউটপুট
১ হবে কিন্তু ১০ সেকেন্ড পর আবার ০ হয়ে যাবে । অর্থাৎ যতক্ষণ টাইম সেট করা থাকবে ততক্ষণই
টাইমার অন থাকবে ।
৬) উইকলি
টাইমারঃ এই হলো আর একধরণের টাইমার ।
যার সিম্বল এ ধরণের । এটা দিয়ে সপ্তাহের যে কোনো
দিন যতক্ষণ ইচ্ছা টাইমার অন এবং যতক্ষণ ইচ্ছা টাইমার অফ রাখতে পারবেন । নিচের ছবিটি
দেখলে কিছুটা বুঝতে পারবেন ।
৭) ইয়ারলি
টাইমারঃ
এই ধরণের টাইমারে একটি অন আর অফ ডেট থাকে । আপনি
নির্দিষ্ট বছর , নির্দিষ্ট দিনে , নির্দিষ্ট সময়ে টাইমার অন করতে পারবেন আবার আপনার
পছন্দের সময়ে টাইমার অফ করতে পারবেন । সিমেন্স এর লোগো পি.এল.সি তে জানুয়ারি ১, ২০০০
সাল থেকে ডিসেম্বর ৩১, ২০৯৯ পর্যন্ত সিলেক্ট করতে পারবেন ।
আমাদের
সাধারনত সবচেয়ে বেশি লাগে ১ আর ২ নাম্বার টাইমার । মোটামুটি এই সব টাইমার দিয়ে পি.এল.সির
প্রোগ্রাম করা হয়ে থাকে ।
যখন উদাহরণ
দেখবো তখন আরো বিষয়গুলো ক্লিয়ার হবে ।
সবাই ভাল
থাকবেন ।
No comments:
Post a Comment