ক্রিকেট মাঠের অধিনায়ক, কিন্তু ক্রিকেট ছাপিয়ে স্পর্শ করেছেন তিনি জীবনের সীমানা। অনেকেরই অনুপ্রেরণার উৎস মাশরাফি বিন মুর্তজা ৫ অক্টোবর ২০১৮ তে পূর্ণ করলেন ৩৫ বছর। চার বছর আগে একই দিনে পৃথিবীর আলোয় এসেছে তার দ্বিতীয় সন্তান। ৩৫তম জন্মদিনে ৩৫ প্রশ্নে ফুটে উঠল মাশরাফির জীবন, মনোজগৎ ও চারপাশ।
১. জীবনের ইনিংসে ৩৫ সংখ্যাটির মানে?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: অর্ধেক জীবন কাটিয়ে দিলাম, কিছুই করা হলো না!
আমাদের দেশের বাস্তবতায় বলি কিংবা যে কোনো বাস্তবতায়, ৩৫ বছর মানে সাধারণ হিসেবে জীবনের অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়া। ৩৫ বছর হয়ে যাওয়া মানে জীবনের হিসেব-নিকেশ করা যায়। কি করতে পারলাম, কি পারিনি, কিভাবে এত পথ পাড়ি দিলাম, সব ভাবা যায়। আমার পথচলায় চড়াই-উৎরাই ছিল, ভালো-মন্দ ছিল, সবার জীবনে যেমন থাকে। তবে সব মিলিয়ে পথচলা যেমন ছিল, আমি তাতে খুশিই।
২. ৩৫ বছরের জীবনকে যদি দুটি ভাগে আলাদা করতে বলা হয়?
মাশরাফি: আমার ক্ষেত্রে খুব অনায়াসেই করা যায়। কারণ ১৭-১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে এলাম, ৩৫ বছরে এসে জীবনে দুটি সমান ভাগ করা যায়!
যদি প্রথম ১৭-১৮ বছর ধরি, তাহলে সেটি কেবলই আমার নিজের সময়। বোধ হওয়ার পর থেকে দুরন্তপনা, লাফালাফি, দাপাদাপি করে বেড়িয়েছি। গাছে ওঠা, নদীতে ঝাঁপ, সাঁতার, যাবতীয় দুষ্টুমি, অদ্ভুত আনন্দময় সময় কাটিয়েছি। কোনো কিছুর পরোয়া ছিল না, পিছুটান ছিল না। যা ইচ্ছা হয়েছে, করেছি। ওই জীবনটা ছিল কেবলই আমার।
পরের ১৭-১৮ বছর যদি বলি, তাহলে এই জীবন ক্রিকেট ও পরিবারের। যেদিন থেকে সিরিয়াসলি ক্রিকেট খেলছি, দেশের হয়ে খেলেছি, সবটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। আর পরিবারের প্রতি দায়িত্ব আমি অনেক পরে বুঝেছি। বোঝার পর থেকে চেষ্টা করেছি পালন করতে। পরিবারই তো সবকিছু। দুটি জীবনই আমার কাছে মূল্যবান। দুটি মিলিয়েই আমি।
মাশরাফি বিন মুর্তজা: অর্ধেক জীবন কাটিয়ে দিলাম, কিছুই করা হলো না!
আমাদের দেশের বাস্তবতায় বলি কিংবা যে কোনো বাস্তবতায়, ৩৫ বছর মানে সাধারণ হিসেবে জীবনের অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়া। ৩৫ বছর হয়ে যাওয়া মানে জীবনের হিসেব-নিকেশ করা যায়। কি করতে পারলাম, কি পারিনি, কিভাবে এত পথ পাড়ি দিলাম, সব ভাবা যায়। আমার পথচলায় চড়াই-উৎরাই ছিল, ভালো-মন্দ ছিল, সবার জীবনে যেমন থাকে। তবে সব মিলিয়ে পথচলা যেমন ছিল, আমি তাতে খুশিই।
২. ৩৫ বছরের জীবনকে যদি দুটি ভাগে আলাদা করতে বলা হয়?
মাশরাফি: আমার ক্ষেত্রে খুব অনায়াসেই করা যায়। কারণ ১৭-১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে এলাম, ৩৫ বছরে এসে জীবনে দুটি সমান ভাগ করা যায়!
যদি প্রথম ১৭-১৮ বছর ধরি, তাহলে সেটি কেবলই আমার নিজের সময়। বোধ হওয়ার পর থেকে দুরন্তপনা, লাফালাফি, দাপাদাপি করে বেড়িয়েছি। গাছে ওঠা, নদীতে ঝাঁপ, সাঁতার, যাবতীয় দুষ্টুমি, অদ্ভুত আনন্দময় সময় কাটিয়েছি। কোনো কিছুর পরোয়া ছিল না, পিছুটান ছিল না। যা ইচ্ছা হয়েছে, করেছি। ওই জীবনটা ছিল কেবলই আমার।
পরের ১৭-১৮ বছর যদি বলি, তাহলে এই জীবন ক্রিকেট ও পরিবারের। যেদিন থেকে সিরিয়াসলি ক্রিকেট খেলছি, দেশের হয়ে খেলেছি, সবটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। আর পরিবারের প্রতি দায়িত্ব আমি অনেক পরে বুঝেছি। বোঝার পর থেকে চেষ্টা করেছি পালন করতে। পরিবারই তো সবকিছু। দুটি জীবনই আমার কাছে মূল্যবান। দুটি মিলিয়েই আমি।